1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন

বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের সুযোগ বেশি নেই: শিক্ষামন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৬০ বার দেখা হয়েছে

করোনায় দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশনজটের বেশি সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার জাতীয় সংসদে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিলের বিষয়ে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে পাঠদান ও পরীক্ষা চালু ছিল। এতে করে খুব একটা বেশি সেশনজটের সম্ভাবনা নেই দাবি করে তিনি বলেছেন, শ্রেণিকক্ষে গত ১৭ মাস পাঠদান বন্ধ থাকলেও টেলিভিশন ও অনলাইনের মাধ্যমে তা পুরোপুরি চলমান ছিল। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে পাঠদান চলেছে। আর পরীক্ষাও চলেছে। সেশনজটেরও সুযোগ বেশি নেই। আমরা খুব সহজে এ সমস্যার সমাধান করতে পারব।

এ সময় তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। মেরামতের কাজ মনিটরিং হচ্ছে।

কারিগরি শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে- জানিয়ে তিনি বলেন, পিএসসি ও জেএসসি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার কিছু নেই। আমরা নতুন শিক্ষাক্রমে যাচ্ছি। সে অনুযায়ী যা যুগোপযোগী, আমরা তা-ই করব।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬ ভাগ শিক্ষার্থী বেকার- এমন পরিসংখ্যান নিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজগুলো, অনার্স ও মাস্টার্স করার অবকাঠামো নেই, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই, জনপ্রতিনিধিদের কারণে সেসব কলেজেও কোর্স চালু করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়েছে। খারাপ দিকগুলো কাটিয়ে উঠতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করছে। অনেকগুলো শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান আছে, খুবই ভালো প্রতিষ্ঠান আছে। সেগুলো ছাড়া আর বাকিগুলোতে মাস্টার্সের বিষয় থাকবে না। সেগুলোতে অনার্স থাকবে, বিএ, বিএসসি, বিকম সেগুলো থাকবে। ডিপ্লোমা করানো হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মে যুক্ত হতে পারেন।

শিক্ষার মান সম্পর্কে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের প্রায়ই প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু আমাদের এখান থেকে পাস করে দেশে ও বিদেশে যে সাফল্য আমরা দেখি, তাতে শিক্ষার মান তলিয়ে গেছে- কথাটি বলার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানসম্পন্ন নন এ কথাগুলোও আসে না।

তিনি বলেন, চাকরিপ্রার্থী বলেন চাকরি পান না। আর দাতা বলেন, যোগ্য লোক খুঁজে পাচ্ছেন না। দুটোর মাঝে যে দূরত্ব, সেটা দূর করার জন্য আমরা সফট স্কিল শেখানোর কাজ করছি।

শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতার একটি নীতিমালা করে দেওয়া হয়েছে ইউজিসির মাধ্যমে। ইউজিসির সক্ষমতার বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছি। আশা করি, শিগগিরিই এটি সংসদে উঠবে।

স্কুল-কলেজ সরকারিকরণের প্রক্রিয়া দীর্ঘ উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল। দীর্ঘদিন আগে তারা (শিক্ষক) নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের নিয়োগের সঠিক কাগজপত্র অনেক জায়গায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারিকরণ করা হবে বলার পর অনেক জায়গায় অনিয়ম করার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এটি সঠিকভাবে করার জন্য আমরা জনবল নিয়োগ করে তা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে চাচ্ছি। কাগজের প্রয়োজনীয়তা যত পারি কমানোর চেষ্টা করছি

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি