করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে আরোপ করা ‘সর্বাত্মক বিধিনিষেধ’ মধ্যে দিয়ে চলছে লকডাউন। বুধবার সকাল ৬ থেকে দেশব্যাপি ৮ দিনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর প্রশাসন। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে, যারা বাইরে বের হয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। জরুরি প্রয়োজনে ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দিচ্ছেন। বুধবার দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু ও নয়াবাজার চেকপোষ্টে ২০ টি পরিবহণের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে ইংলিশ রোড এবং রায়সাহেব বাজার মোড়ে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশি অবস্থান ছাড়াও পুলিশি টহল এবং মোবাইল কোট লকডাউনে তৎপর রয়েছে। সোয়া ১০টার দিকে ইংলিশ রোড এলাকায় মোবাইল কোট টহল দিতে দেখা যায়।
এছাড়া রাজধানীর শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, সায়েন্সল্যাব, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকার মোড়গুলোতে পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে। প্রিন্ট কপি বা মোবাইলে মুভেমন্ট পাসে দেখিয়ে অনেককেই চলাচল করছেন। সড়কে কিছু ব্যক্তিগত যান, মোটরসাইকেল, রিকশা ও পণ্য পরিবহনের পিকআপ ও ট্র্যাক ছাড়া অন্য কোনো বাহনের দেখা মেলেনি। পয়লা বৈশাখের ছুটির দিন হিসেবেও মানুষের চলাচল কম।
মিরপুরের ১, ২ ও ১০ নম্বর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পাইকপাড়া, গাবতলীতে পুলিশে চেকপোস্ট বসেছে। যানবাহনের সংখ্যা কম। যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে পুলিশ তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে। কোথাও কোথাও মামলা ও জরিমানাও করা হচ্ছে।
গাবতলীর চেকপোস্টে সার্জেন্ট শামসুদ্দিন শামস জানান, এখানে অপ্রয়োজনীয় চলাচলের জন্য ১৫টি যানবাহনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলছেন, উপরের নির্দেশে তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। উদ্দেশ্য একটাই, করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে।