1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০২ অপরাহ্ন

রূপপুরে পরমাণু চুল্লিপাত্র বসছে আজ

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৪৭ বার দেখা হয়েছে

পাবনার রূপপুর ইউনিয়নে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র বসছে আজ রবিবার। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে রূপপুর প্রকল্প। চুল্লি স্থাপনের আগে রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক এলেক্সি লিখাচেভ বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে বছরের পর বছর রাশিয়া যে উৎকর্ষতা অর্জন করেছে, সেই অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান রূপপুরে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কিছু ব্যবস্থাপনা রূপপুর প্রকল্পকে করেছে সবচেয়ে নিরাপদ।

রুপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর বলেন, ইউনিট-১’র ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হবে। ফলে এই ইউনিটের রিয়াক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হবে রূপপুরে। ইউনিট-২’র কাজও চলছে জোরেশোরে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে, বিভিন্ন প্রস্তুতি পর্ব শেষে প্রথমত ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এরপর সেসব অবকাঠামোর মধ্যে পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়।

ভৌত কাঠামোর নির্মাণের পর খুব দ্রুত গতিতে চলে যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ। ভৌত কাঠামো নির্মাণ গতির সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করা হচ্ছে রাশিয়ায়। ইতিমধ্যে প্রথম ইউনিটতো বটেই দ্বিতীয় ইউনিটেরও প্রায় যন্ত্র প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছেছে।

শৌকত আকবর জানান, করোনার মধ্যে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চলেছে রূপপুরে। বন্ধ থাকেনি এক দিনের জন্যও। ওই সময়ে কিছুটা গতি কমলেও নতুন বাস্তবতায় লোকবল বাড়িয়ে এগিয়ে চলছে প্রকল্প। ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের এই প্রকল্পে নব্বই ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। একই সাথে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রূশ ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি এটি পরিচালনার জন্য জনবলও তৈরি করে দিচ্ছে রাশিয়া।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ এ প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট এবং একই পরিমাণ বিদ্যুৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে ২০২৫ সালে।

পরমাণু চুল্লিপাত্র বসানোর আগে বিজ্ঞানমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, এই ঘটনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর ফলে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাবে।

আগামীকাল প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের আগে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে রূপপুর প্রকল্পের বাংলাদেশি ও রাশিয়ান কর্মকর্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি