1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন

রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে নেশন্স লিগের ফাইনালে ফ্রান্স

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৬৬ বার দেখা হয়েছে

জিতলেই ফাইনাল। হারলেই স্বপ্নভঙ। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাতে তুরিনের আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়াম উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। শুরুতে অবশ্য নিজেদের খুব একটা মেলে ধরতে পারেনি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এ সুযোগে প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেলজিয়াম। তবে বিরতির পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে তিন গোল করে অসাধারণ জয় তুলে নেয় কিলিয়ান এমবাপেরা। এরফলে এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে পা রাখে দলটি।

উয়েফা নেশন্স লিগের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার রাতে ৩-২ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। তবে আক্রমণে আধিপত্য করে বেলজিয়াম। তিন মিনিটে ইয়ানিক কারাসকো ও রোমেলু লুকাকুর গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নেয় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জেগে ওঠে ফ্রান্স। দ্রুত সময়ের দলটির হয়ে ব্যবধান কমান করিম বেনজেমা। সেই রেশ থাকতেই বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপে। এদিকে ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে থিও এরনঁদেজের গোলে জয় উল্লাসে মাতে ফ্রান্স।

তুরিনের মাঠে বৃহস্পতিবার ৩৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় বেলজিয়ম। ডে ব্রুইনের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে প্রতিপক্ষের দুই জনের মাঝ দিয়ে বল জালে পাঠান কারাসকো। ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই দ্বিতীয় গোল হজম করে ফ্রান্স। ডে ব্রুইনের পাস দু পায়ের মাঝ দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ফাঁকেই সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষকে ফাঁকি দেন লুকাকু। এরপর ক্ষিপ্র গতিতে বলের পিছু নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে বুলেট গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন চেলসি ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর ব্যবধান কমানোর সুযোগ মিস করেন আঁতোয়ান গ্রিজমান। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে স্বস্তি দেন করিম বেনজেমা। বাঁ দিক দিয়ে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে বেনজেমাকে খুঁজে নেন এমবাপে। প্রতিপক্ষের চার জনে ঘিরে থাকা অবস্থায় ঠাণ্ডা মাথায় গোলপোস্ট পেছনে রেখে বল ধরে শরীর ঘুরিয়ে নিচু শটে গোলটি করেন বেনজেমা। এরপর ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে বুলেট গতির স্পট কিকে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান এমবাপে। ডি-বক্সে গ্রিজমানকে বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ইউরি টিলেমানস পেছন থেকে ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি।

সমতায় ফেরার পর যেন নিজেদের পুরনো ছন্দ খুঁজে পায় ফ্রান্স। তাইতো ম্যাচের শেষ দিকে থিও এরনঁদেজে গোল করে দলটিকে এনে দেন রোমাঞ্চ ছড়ানো জয়। সে সময় বেনজেমার কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শটে এরনঁদেজে খুঁজে নেন কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা। সঙ্গে সঙ্গে ফাইনালে ওঠার আনন্দে মাতে ফ্রান্স।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি