1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

গৌরনদীতে ইউপি নির্বাচনের আড়াই মাস পর বিদ্যালয়ের আলমারিতে মিলল ব্যালট পেপার

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৪৮ বার দেখা হয়েছে

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি : প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের আড়াই মাস পরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলমারিতে পাওয়া গেল কিছু ব্যালট পেপার ও দুই’শ ব্যালটের মুড়ি। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঘমারা বড় দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ খান জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করা হয় প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে ওইদিন দুপুরে বিদ্যালয়ের স্টিলের আলমারি খোলা হয়। এ সময় আলমারির ভেতরে ইউপি নির্বাচনে ওই বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত কিছু ব্যালট পেপার ও দুই’শ ব্যালটের মুড়ি পাওয়া যায়। প্রধান বলেন, গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত বার্থী ইউপি নির্বাচনে এই বিদ্যালয়টি ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নির্বাচনের আগের দিন ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ের আলমারির চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চাবি হস্তান্তর করে চলে যান। করোনার প্রভাবে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এতদিনে ওই আলমারি খোলা হয়নি। বিদ্যালয় খোলার পরে আলমারির ভেতরে এসব ব্যালট ও ব্যালটের মুড়ি পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি বিদ্যালয় ব্যব¯’াপনা কমিটির সভাপতিসহ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফয়সল জামিল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসকে জানানো হয়েছে। বার্থী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য খায়রুল আহসান খোকন অভিযোগ করেন, বিগত নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করার অভিযোগ তিনি প্রশাসনের কাছে করেছিলেন। কিš‘ প্রশাসন তার অভিযোগ আমলে নেয়নি। এখন বিদ্যালয়ের আলমারির ভেতরে ব্যালট পেপার ও ব্যালটের মুড়ি পাওয়ার ফলে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল।

খায়রুল আহসান খোকন বলেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বার্থী ইউনিয়নে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বাঘমারা বড় দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার মিলে তাদের যোগসাজশে ওই দুই’শ ব্যালটের ভোট কারচুপি করে গোপনে বাক্সে ঢুকিয়ে আমার প্রতিপক্ষ সোবাহান হাওলাদারকে বিজয়ী করা হয়েছে।পরাজিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী শিপ্রা রানী অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী শাহানাজ বেগমকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলার হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউল ইসলাম বলেন, ‘আলমারিতে পাওয়া ব্যালট ও মুড়ির সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওই ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মামুনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রকৃক্রিয়া চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি আসলে কি হয়েছে তা পরিষ্কার হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ওই ভোট কেন্দ্রের কিছু ব্যালট পেপার ও ব্যালটের দুই’শ মুড়ি পাওয়ার ঘটনাটি আমাকে অবহিত করা হয়েছে। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি