1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন

এক নজরে ‘ট্র্যাজেডি কিং’ দিলীপ কুমারের সংগ্রামী জীবনের গল্প

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ৪৬০ বার দেখা হয়েছে

উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার আর নেই। বুধবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর এনডিটিভির।

‘ট্র্যাজেডি কিং’ দিলীপ কুমারের সংগ্রামী জীবন

১৯২২ সালে অবিভক্ত ভারতের কিসসা খাওয়ানি বাজারের সম্ভ্রান্ত জমিদার তথা ফল ব্যবসায়ী লালা গোলাম সারওয়ার খান ও আয়েশা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বলিউডের এই প্রবাদপ্রতীম অভিনেতা। জন্মসূত্রে তার নাম মুহাম্মদ ইউসুফ খান হলেও রুপালি পর্দায় তিনি পরিচিত ছিলেন দিলীপ কুমার হিসেবে। এক সময় বাবার সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে বাড়ি ছাড়েন দিলীপ কুমার। পরিচয় গোপন করে ক্যান্টিন কন্ট্রাক্টরের কাজ করেন। পরে আর্মি ক্লাবে স্যান্ডউইচও বিক্রি করা শুরু করেন। এভাবেই ৫০০০ টাকা জমিয়ে তার মায়ানগরী মুম্বইয়ে আসা।

সিনেমার জগতে দিলীপ কুমারের প্রবেশ দেবিকা রানির বম্বে টকিজ প্রযোজনা সংস্থার কর্মী হিসেবে। মাসিক ১২৫০ টাকার বিনিময়ে এই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সেখানেই অশোক কুমার ও শশধর মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য আসেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।

অভিনেতা দিলীপ কুমারের বলিউডে আত্মপ্রকাশ ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার মাধ্যমে। তবে, নায়ক হিসেবে তাকে পরিচিতি দেয় ১৯৪৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জুগনু’ চলচ্চিত্র। তারপর থেকেই বলিউডে শুরু হয় দিলীপ কুমারের ‘নয়া দওর’। তিনি চলচ্চিত্র জগতে ছয় দশকের অধিক সময় ধরে বিচরণ করেছেন এবং অভিনয় করেছেন ৬০টির বেশি ছায়াছবিতে।

তিনি বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যেমন- রোমান্টিক ধাঁচের চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৪৯ সালের আন্দাজ, ১৯৫২ সালের বেপরোয়া বা হঠকারী এবং চালবাজ চরিত্রে আন, ১৯৫৫ সালে নাটকীয় চলচ্চিত্র দেবদাস, ১৯৫৫ সালের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র আজাদ, ১৯৬০ সালে ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘মুঘল-এ-আজম এবং ১৯৬১ সালের সামাজিক ঘরানার চলচ্চিত্র গঙ্গা যমুনা-তে। ‘মধুমতী’ থেকে ‘ক্রান্তি’, ‘মশাল’, ‘কর্মা’, ‘সওদাগর’, ‘কিলা’

প্রায় পাঁচ দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করেছেন কিংবদন্তি অভিনেতা। তিনিই প্রথম ছবি প্রতি ১ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিতে শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে, দিলীপ কুমার ছবিতে অভিনয় থেকে পাঁচ বছর বিরতি নেন। এরপর আবার শুরু। ১৯৯৮ সালে শেষবার সিনেমায় অভিনয় করেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। ১৯৬৬ সালে অভিনেত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দিলীপ কুমার। ‘গোপী’, ‘সাগিনা’ চলচ্চিত্রে তারা জুটি বেঁধে কাজ করেছেন।

সেরা অভিনেতা হিসেবে ৮টি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন দিলীপ কুমার। সবচেয়ে বেশি পুরস্কার জেতার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও রয়েছে তার। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয় দিলীপ কুমারকে। ভারতীয় সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কার পান দিলীপ কুমার। ২০১৫ সালে ভারত সরকারের তরফে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মানও দেওয়া হয় তাকে। ২০০০ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন তিনি। এমনকি ১৯৯৮ সালে দিলীপ কুমারকে নিশান-ই-ইমতিয়াজ সম্মানে সম্মানিত করে পাক সরকার। দিলীপ কুমারকে হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি