1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন

করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেই সংগ্রহ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৭৭৮ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের যেখানেই করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হবে বাংলাদেশ তা সংগ্রহের উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে সরকার অর্থও বরাদ্দ রেখেছে বলে উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টম্বর) জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এতথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয়। সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও এ বিষয়ে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। করোনা মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভ্যাক্সিনের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ গবেষণা করছে। অনেক দেশের কাছে আমরা শুনছি। সব দেশেই আমরা আবেদন দিয়ে রেখেছি। এর জন্য টাকাও বরাদ্দ করে রেখেছি। যেখান থেকে আগে পাওয়া যায় আমরা সেটা নেব। দেশের মানুষকে করোনা থেকে মুক্ত করার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হয়েছে।’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেন এই দুর্যোগের সময়টা পার করতে পারি। ইনশায়াআল্লাহ আমরা এটা পার করতে পারব। তবে, ভ্যাক্সিন যেটা আবিষ্কার হলো- আমরা আশাবাদি হয়েছিলাম অক্সফোর্ডেরটা নিয়ে কিন্তু তা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেল অসুস্থ হয়ে পড়লো। আমরা দুঃচিন্তাগ্রস্ত হয়ে গেছি। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে। যেখানেই আবিষ্কার হোক আমাদের দেশের মানুষের জন্য তা সংগ্রহ করতে পারব। এই বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন।’
করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনা চোখে দেখা যায় না। কিন্তু সারাবিশ্বকে একেবারে স্থবির করে দিয়েছে। বাংলাদেশে যখন এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকলে এটি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করেছে। প্রশাসন ও আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা আমরা চালিয়েছি বলেই মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। যতদূর সম্ভব আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এর সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ছিল না, তারপরও যে যেভাবে পেরেছি সহায়তা করেছি।’
করোনাকালে চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রধান বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা যাতে দিতে পারি তার জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত, চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়সহ সব ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এজন্য পানির মত টাকা খরচ হয়েছে। আমরা টাকা পয়সার দিকে তাকাইনি। এখানে হয়তো কেউ খুঁজে খুঁজে দুর্নীতি দেখতে পারে। যে মুহূর্তে এ ধরনের একটি দুর্যোগ মোকাবিলার চিন্তা করতে হয়েছিল তখন টাকা পয়সা কী হবে? কত খরচ হলো। কতটুকু সিস্টেম লস তা বিবেচ্য ছিল না। আমাদের বিবেচ্য ছিল মানুষকে বাঁচানো। কীভাবে মানুষকে রক্ষা করবো সেই ব্যবস্থাটা নেওয়ার চিন্তা ছিল। আর সেটা করেছি বলেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। যেখানে এখনো বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশের মত ঘনবসতির দেশে এই কাজগুলি করা অত্যন্ত কঠিন। উন্নত বিশ্বে এই সমস্যাটা ছিলে না।’
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কী হবে? কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই বিষয়ে আমরা সজাগ ছিলাম। এজন্য আমেরা শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত নেই যথাযধ ব্যবস্থা নেই। দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেই জন্য অনেক পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।’
প্রধান মন্ত্রী বলেন, ‘নারায়নগঞ্জে মসজিদ নির্মাণের নীতিমানা হয়নি। মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এমন একটি জায়গায় যেখানে গ্যাসের লাইন ছিল সেই লাইরেন ওপর। তার কোনো অনুমোদন ছিল না। এইভাবে অনুমোদিত অপরিকল্পিতভাবে মসজিদ করার ফলে যে দুর্ঘটনা ঘটে গেল, কতগুলো জীবন ঝরে গেল। ভবিষতে কেউ যদি কোনো স্থাপনা করেন অন্তত নিয়ম নীতিমালা মেনে করবেন। যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনায় আর পড়তে না হয়।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি