মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয় আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ডসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গ্রেপ্তাররা হলেন- ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার (৩৮), নাসির উদ্দিন (৩৮) এবং মোরশেদুল আলম (৫১)। আজ শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ও টিপুকে অনুসরণকারীরা রয়েছেন।শুক্রবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
এর আগে গত বুধবার রাতে রাজধানীর কমলাপুরের কালভার্ট রোড এলাকা থেকে একটি পাকিস্তানি রিভলভার ও দুই রাউন্ড গুলিসহ দামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি পুলিশের দাবি, টিপুকে হত্যার দুই মাস আগে ঢাকা দক্ষিণ কমলাপুরের রুপালি যুব উন্নয়ন সংঘ ক্লাবে যে বৈঠক বসেছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন দামাল।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত মোহাম্মদ শামীম বলেন, টিপু হত্যার আগে দামালসহ কয়েকজন কমলাপুরের একটি ক্লাবে বৈঠক করেছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দামালের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় রিমান্ডে আনা হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টিপু হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রিমান্ডে থাকা মূল শ্যুটার আকাশের দেওয়া তথ্য অনুসারে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দামালের কাছে পাওয়া অস্ত্রটি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে কি না, সেটিও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কমলাপুরে অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপারের ছেলে আরফান উল্লাহ দামাল। ২০০০ সালের দিকে তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন