1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন

নন-ক্লোজার এগ্রিমেন্টে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১১৯ বার দেখা হয়েছে

মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কিনতে সরকারের যে অর্থ ব্যয়, এর তথ্য জানানো ‘সমীচীন হবে না’ বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নন-ক্লোজার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। ফলে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। তবে সততা ও স্বচ্ছতার নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

এ নিয়ে ভ্যাকসিন কেনার খরচ জানানোর বিষয়টি সংসদে দুবার এড়িয়ে গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বছর জুলাই মাসে ভ্যাকসিন কেনাসহ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সরকারের ব্যয় গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছিলো।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদ সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কোন কোন দেশ থেকে কত সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেগুলো সংগ্রহে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন। এবারও ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য একই প্রশ্ন করেন।

আজ প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত (১৮ জানুয়ারি ২০২২) ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় দুই কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন হতে ৭ কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও ৭ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাকসহ মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার এবং ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

জাহিদ মালেক জানান, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স হতে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে।

এর আগে ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনা চিকিৎসার ব্যয় জানানো হয়। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা কেনা হয়েছে (ওই সময় পর্যন্ত)। প্রতি ডোজ ৩ হাজার টাকা হিসেবে মোট ৩ হাজার ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে এ পর্যন্ত (১৮ জানুয়ারি) ৮ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৬ জন করোনার টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এসময়ে ৯ কোটি ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯০০ জনকে বুস্টার ডোটসহ সর্বমোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক না থাকায় রেজিস্ট্রেশনের চেয়েও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি