1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

নারী জাগরণে কাজ করেছে ঢাবি: আইনমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৫৩ বার দেখা হয়েছে

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ববঙ্গের বাঙালি নারীর জীবনের দরজা খুলে দিয়েছিল। এখানে উচ্চশিক্ষা নিতে এসে কেবল পড়াশোনাতেই থেমে থাকেননি নারীরা। তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও জড়িত হয়েছেন।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উপক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে দাঁড়িয়ে উপলব্ধি করছি, বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে এ অঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে যে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তার অনেকটাই পুষিয়ে দিতে পেরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিরবচ্ছিন্নভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বাঙালি জাতিকে বহু অজানা ও নতুন পথ দেখিয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, কীভাবে অধিকার ও স্বাধিকার অর্জন করতে হয়, কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়, কীভাবে দেশ গড়তে ও পরিচালনা করতে হয় তা উর্বর ও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কে বিস্তরভাবে শিখিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাঙালি জাতি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার সংগ্রামসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে সফল হতে পেরেছে। আর এসব আন্দোলন ও সংগ্রামের সূতিকাগার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

‘ভারত বিভক্তির পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান অর্জন ও রাজনীতি চর্চার তীর্থস্থান হিসেবে বেছে নেন। তার পাকিস্তানবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের অভিযাত্রাও শুরু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।’

মন্ত্রী বলেন, এসব কারণেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রধান চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিল এই বিশ্ব বিদ্যাপিঠ। তারই প্রতিশোধ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে এখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। আবার বাঙালির কাছে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৪ ডিসেম্বরেও এখানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা।

নব্য স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রেও রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসামান্য অবদান। স্বাধীন বাংলাদেশেও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীরা অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন।

তিনি বলেন, জনগণের অধিকার ও স্বাধিকার অর্জন, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশ গঠন ও পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিশ্বের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এতসব অবদান রাখতে পেরেছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে একটি অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সোনালী চক্রবর্তী ব্যানার্জি, ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বক্তৃতা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি