1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

পলাশবাড়ীতে রাস্তা নষ্ট কালভাটের ডালা ভেঙ্গে চলছে ভেকু ও মরণযান মাটিবাহী ট্রাক্টর, দেখবে কে?

বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা
  • আপডেট : সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩০৩ বার দেখা হয়েছে
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের প্রায় ৫ কিলো ইউপি রাস্তা সর্বসাধারণের চলাচলের অনউপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দাবী করেন এসডিএফ এর অর্থায়নে নির্মিত ঘোড়াঘাট টু পলাশবাড়ী সড়ক হতে হোসেনপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের কাচা রাস্তা । গোটা কাচা রাস্তাটি খোড়া খন্দা ও ধুলায় ভরে গেছে এসব যান বাহন চলাচলের ফলে। এমন অবস্থায় স্থানীয়রা অতিষ্ট হলেও প্রভাবশালী গং এর ভয়ে তারা কোন প্রতিবাদ করতে পারছে না।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ও দেখা যায়, লকডাউনে যখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জনসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে ব্যস্ত ও পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পদটি শূন্য ঠিক সেই সময়ে একটি চক্র পুকুর খননের নামে প্রায় আনুমানিক তিন একর এলাকা জুড়ে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এসব মাটি অত্র এলাকার ইউভাটা গুলোতে বিক্রি করছে এ চক্রটি। যার দেখভাল করেছেন কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বপন। তিনি এসব মাটি বিক্রি করার দায়িত্বে রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন হলো এইখানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ এ পুকুর খনন করছেন। তিনি এখানে দু একদিন পর পর আসেন । মাটি কাটার জন্য আনা ভেকু ও ট্রাক্টর প্রবেশ করতে সমস্যা হওয়ায় ভেকু দিয়ে উক্ত কালভাটের পাশের ডালাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। আগামীতে বন্যার পানি আসলে এ পাশের আবাদি জমি গুলো পানি আর পার হতে পারবে না। এই এলাকার যত জমি আছে সব পানিতে তলিয়ে থাকবে। আর চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির অবস্থা আপনারা তো নিজ চোখে দেখলেন এই রকম রাস্তা আর কোথাও আছে কিনা জানা নেই। মাটি খোকো গং প্রভাবশালীদের ভয়ে আমরা কোন প্রতিবাদ বা বাধা দিতে পারি না। এই এলাকার রাস্তা উন্নয়নের জন্য কোন জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসেনি। কিন্তু রাস্তা নষ্ট ও বিজ্র কালভাট নষ্ট করার পিছনে তাদের ইন্ধন ও সরাসরি হাত রয়েছে। মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চালকগণ ও মাটি কাটা কাজে ভেকু চালক জানান, এসব মাটি বিদ্যুৎ চেয়ারম্যানের পুকুর খনন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সুমন মিয়া ভাটায়। এছাড়াও আশপাশে গ্রামের যাদের মাটির প্রয়োজন হয় তারাও এখান হতে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার এমন বেহাল অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন মাটি কাটা শেষে রাস্তাটি ঠিক করা হবে।
স্থানীয়রা আরো জানান ,উপজেলায় বা জেলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তাদের নিজ চোখে উক্ত গ্রামীন রাস্তাটি দেখে যাওয়ার দরকার। এভাবে জনগণের দূর্ভোগ সৃষ্টি করার পিছনে যারা জড়িত তারা যত শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি দেওয়া হোক।
গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টেরপেয়ে পুরুষ জনসাধারণ এগিয়ে না আসলে এক প্রতিবাদি নারীকে দেখা যায় উক্ত রাস্তায় এসব মাটি বহনকারী ট্রাক্টর আটকিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন রাস্তাটি নষ্ট করছে।আমাদের ঘরে জিনিসপত্র বালু দিয়ে ভরা শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট তার পরে শব্দ শিশুরা ভয়ে আকড়ে উঠে। ছোট ছোট শিশুরা থেকে বয়স্করা পর্যন্ত উক্ত রাস্তায় চলাচলে ভয় পায়। এ রাস্তায় কোন ভ্যান রিক্সা আসে না। কোন ব্যক্তি অসুস্থ্য হলে পিটে করে নিয়ে রাস্তায় নিয়ে যেতে হয়। এ রাস্তাটি নষ্টের পিছনে যারা জড়িত তারা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার মতো কোন ব্যক্তি নেই পলাশবাড়ী উপজেলায় বা গাইবান্ধা জেলায়। রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে নির্মিত কালভাট ভেঙ্গে অবৈধভাবে মাটি কর্তন করছে ভূমি আইন লংঙ্ঘন করার পরে প্রশাসনের বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ নিশ্চুপ হয়ে থাকায় জনমনে মিশ্রপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারা বলেন প্রায় ১৫ বছর আগে এসডিএফ এর অর্থায়নে রাস্তা ও কালভাট নির্মান করা হয়।
এবিষয়ে দায়িত্বরত সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন জানান, মাটি উত্তোলন কাজে সে তদারকি করছে। রাস্তাটির একটু সমস্য হয়েছে তবে কালভাট ভাঙ্গার বিষয়টি তার জানা নেই। পুকুর মালিক পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, উক্ত রাস্তাটি আমাদের ব্যক্তিগত সম্পতির উপর দিয়ে গিয়েছে এবং কালভাটটি আমি নিজের অর্থায়নে করেছি। যেহেতু উক্ত এলাকাটিতে আমাদের সম্পতি রাস্তার বিষয়টি আমার মাথায় রয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়নকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি