1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

প্রতিবেশীদের সন্দেহের চোখে দেখছে মিয়ানমারের আন্দোলনকারীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২০৬ বার দেখা হয়েছে

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করতে প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে গেছেন মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্না মং লুইন। থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন লুইন। গেল ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখলের পর এটি প্রথম শীর্ষ আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে কূটেনৈতিক বৈঠক।

তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর এই উদ্যোগ সন্দেহের চোখে দেখছেন মিয়ানমারে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। তারা মনে করছেন এই উদ্যোগের মাধ্যমে জান্তা সরকারকে বৈধতা দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, দুই সপ্তাহ পরও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে মিয়ানমারে। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল দেশটি। এরইমধ্যে কূটনৈতিক উপায়ে সংকট উত্তরণের উদ্যোগ নিয়েছে আসিয়ান জোটের প্রভাবশালী দেশ ইন্দোনেশিয়া।

সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই জান্তা সরকারের মন্ত্রীর সঙ্গে থাইল্যান্ডে বৈঠক করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা। ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতায় আসেন তিনিও। ফলে এক ধরণের মৌন সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গেও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা সুখকর নয়। তবে ক্ষমতায় আসার পরপরই মিয়ানমার সেনাপ্রধান রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিয়ে করা চুক্তির কোন ব্যত্যয় ঘটবে না।

মিয়ানমারের উপর নজর রাখছে ভারত ও চীনও। যদিও এমনটাও ভাবা হচ্ছে, চীন সরকারের সমর্থনও থাকতে পারে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উপর। অনেক আন্দোলনকারীরাও এমনটাই মনে করছেন। তবে এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে দেশটিতে। পুনরায় গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে দেয়ার কথাও বলছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

গেল ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে নিরাপত্তারবাহিনীতে এখন পর্যন্ত নিহত হন ৩ জন, আহত হন শতাধিক। এখনও অস্থিরতা বিরাজ করছে মিয়ানমারে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি