1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক আব্দুল হাই এন্টারপ্রাইজের অব্যবস্থাপনায় অগ্নিঝূকিতে হাসনাবাদ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫০ বার দেখা হয়েছে
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক আব্দুল হাই এন্টারপ্রাইজের অব্যবস্থাপনায় অগ্নিঝূকিতে হাসনাবাদ
🔲 অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএসটিআই 🔲 পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্বেগ

রাজিয়া সুলতানন তূর্ণাঃ

সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কোন প্রকার আইন এবং নিয়ম-কানুন না মেনে  হাজী মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জনবসতির  ভেতরে গড়ে উঠেছেনএই অবৈধ  তারের কারখানাটি। মেসার্স আব্দুল হাই এন্টারপ্রাইজ নামের এই কারখানাটি কোন প্রকার বৈধ সনদ ছাড়াই গায়ের জোরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম  উৎপাদনের  কাজ চালাচ্ছে। পুরাতন জাহাজের নষ্ট হয়ে যাওয়া তার গলিয়ে নতুন তার বানিয়ে  লেভেল লাগিয়ে কয়েল বাঁধানো হয় এখানে। সেইটার তৈরির সময় যে চুল্লি ব্যবহার হয় তার থেকে নির্গত ধোয়ায় আশেপাশে জনসাধারণ প্রচন্ড স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে, কারো কারো ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, এর অনুমোদনহীন এই কারখানাটিতে যেকোনো সময় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে, যাতে প্রাণ হারাতে পারে হাসনাবাদ এলাকার অন্তত এক হাজার জনসাধারণ। ভেজাল কাঁচামাল দিয়ে আবাসিক এলাকায় জনগণকে অগ্নি-ঝূকির মুখে রেখে অবৈধ তার নির্মাণ করছে হাজী শাহাদাত,  সেই তার “ইক্যাব” ক্যাবল নামে বাজারজাত করছেন তিনি। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে  দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির অনুসন্ধানী টিম সরজমিনে এই অবৈধ কারখানাটির হদিস পায়, দেখা যায় কোন ধরনের প্রয়োজনীয় সনদহীন কারখানাটি যেভাবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরি করে, তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে, এবং কাঁচামাল হিসেবে যে সকল নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করা হয় তার গুণগত মান খুবই নিম্নমানের। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহারিত চুল্লির ধোয়ায় স্বাসতন্ত্র রোগে ভুগছে আশেপাশের শত শত মানুষ। এ সকল গুরুতর অনিয়মের বিষয়ে  কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পর মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আনিস দাম্ভিকতার সাথে বলেন আপনারা কেন এসেছেন,? বিএসটিআই পরিবেশ লোক যখন আসবে তখন তাদের কে ম্যানেজ করে নিবো। তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে কারখানার অবৈধ কাজ আজও চলমান রেখেছে,যাতে অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে হাসনাবাদের শত শত পরিবার। সংবাদ প্রকাশের পূর্বে বক্তব্য চাওয়ায় শাহাদাত  প্রতিবেদকের সাথে বিরূপ আচরণ করেন, অতঃপর তার পক্ষে একজন সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য আর্থিক প্রলোভন দেওয়ার চেষ্টা করেন। শাহাদাত এর ম্যানেজার আনিস আরথিনের তারের তৈরীর কথা বলে পুরাতন জাহাজ ভাঙা কারখানার  ভাঙাড়ী তার এনে তিনটা ফ্যাক্টরি চালাচ্ছেন। অন্য দুইটাতে তার গলানোর কাজ চালানো হয় সাইনবোর্ড দেওয়া এই কারখানায়  কয়েল বা হয়।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পেশি শক্তি প্রয়োগ করে তারা অবৈধ তার কারখানা চালাচ্ছে, যার থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আমরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি, শিশু বৃদ্ধরা হাঁপানির মতো জটিল রোগে ভুগছে, এ ব্যাপারে সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিলে নিমতলী, তাজরীন কিংবা বেইলিরোড এর থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে।

অবৈধ তার কারখানাটির কারণে সৃষ্ট অগ্নি ঝুঁকির বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা জানান “এ সকল অনুমোদনহীন কারখানায় প্রতিনিয়ত অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, আমরা অচিরেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেবো ”

বিএসটিআই এর কর্মকর্তা  হোলাম রাব্বানী দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন – কারখানাটির বিএসটিআই অনুমোদন না থাকলে আমরা খুব শীঘ্রই নেবো, অবৈধ কারখানার কারণে কোনভাবেই

জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি আমাদের কাম্য নয়।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি