1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

ময়মনসিংহে মাদ্রাসা শিক্ষিকার রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৩৭ বার দেখা হয়েছে

ময়মনসিংহের ফুলপুরে নুরুন্নাহার (৩৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নুরুন্নাহার ফুলপুর মহিলা কামিল মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক ও নান্দাইল উপজেলার নোয়াগাঁও দিলালপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। তার মায়ের নাম মৃত ফাতেমা খাতুন।

তার স্বামী তারাকান্দা উপজেলার শানুরা গ্রামের আব্দুর রশিদ তালুকদারের ছেলে এমদাদুল হক সবুজ (৪৫)। তিনি ফুলপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক। তারা ফুলপুর পৌর শহরের শিববাড়ি রোডস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বিপরীতে বজলুর রহমানের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন।

জানা যায়, এমদাদুল হক সবুজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে বাসায় গিয়ে ভেতর থেকে দরজা লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় চিৎকার শুরু করেন। এরপর আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তিনি পাশের বাসা থেকে শাবল এনে জোরে ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়।

পরে তারা ভেতরে ঢুকে নুরুন্নাহারকে রক্তাক্ত ও বিষপান অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে ওয়াশ করার পর তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুন্নাহার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  নুরুন্নাহারের লাশ সোমবার পর্যন্ত মমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলপুর থানার এসআই আশরাফুল জানান, নুরুন্নাহারের বাম হাতের কব্জির রগ কাটা, ফ্লোর ও পাপোশ রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার রান্না ঘরে ব্লেডসহ বিষের বোতল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিজে নিজেই তিনি হাত কেটেছেন ও বিষপান করেছেন। কিন্তু কেন? তা বোঝা যাচ্ছে না।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল-মহব্বতের কমতি ছিল কি না জানতে চাইলে তার স্বামী এমদাদুল হক সবুজ কান্নারত অবস্থায় বলেন, আমাদের মধ্যে মিল- মহব্বতের কোনো কমতি ছিল না। কে তাকে বিষ এনে দিলো? কেনইবা সে বিষ পান করলো? এসব কিছু তিনি বলতে পারেন না।

তাদের বিয়ের এক যুগ পার হলেও কোনো সন্তানাদি না হওয়ায় তাদের মধ্যে পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব চলছিল কি না, তা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, এসব কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে কোনো দ্বন্দ্ব-কলহ ছিল না। সন্তানাদি আল্লাহ দেয় নাই। এটা তার কি করার আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি ইমারত হোসেন গাজী বলেন, নুরুন্নাহারের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। নুরুন্নাহার আত্মহত্যা করেছে মর্মে তারা আমাদের কাছে একটা আবেদন দিয়েছেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি