1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

সুদানে সংঘাতে নিহত ৪১৩, ঝুঁকিতে ৫০ হাজার শিশু

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৮ বার দেখা হয়েছে

আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়াও চলমান এই সংঘাতে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জাতিসংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সুদানে সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী- সংঘাতে ৪১৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া আরও তিন হাজার ৫৫১ জন সংঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। এরমধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
এদিকে, ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার একই সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন- এই সংঘাতের ফলে অন্তত ৫০ হাজার শিশুর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। এল্ডার বলেন, সুদানে ইতোমধ্যেই শিশুদের মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ অপুষ্টির হার রয়েছে এবং আমরা এখন এমন একটি পরিস্থিতি পেয়েছি যেখানে প্রায় ৫০ হাজার শিশুর জন্য গুরুতর জীবন রক্ষাকারী সহায়তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
অন্যদিকে, যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই সৌদি নৌবাহিনী নিজ দেশের নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় দেড় শতাধিক মানুষকে সুদান থেকে উদ্ধার করেছে। আফ্রিকার দেশটি থেকে বাংলাদেশিদেরও উদ্ধার করেছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় গত শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

এছাড়াও সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমার আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের খার্তুম থেকে সরিয়ে আনতে একটি অভিযান পরিচালনা করেছে।’
গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে ব্যাপক লড়াই শুরু হয়। সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে।
সুদানের বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে আছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি ডাগালো।
বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য তাদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এরপর এটি সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি