1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল সুপার-ওসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১
  • ৫৩৬ বার দেখা হয়েছে

জামিন পাওয়ার পর হাফিজ ভূইয়া (২৫) নামে এক যুবককে কারাগারের ভেতর থেকে তুলে এনে আরেক মামলায় জড়ানোর অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন জানিয়ে এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (সদর) আয়েশা বেগমের আদালতে মামলার আবেদন করেন হাফিজের মা রেজিয়া বেগম। হাফিজ জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের দুর্বাজ মিয়ার ছেলে।

এজাহারে আসামি করা অন্যরা হলেন- জেলা কারাগারের জেলার দিদারুল আলম, ডেপুটি জেলার রেজাউল করিম, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) সোহরাব আল হোসাইন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল মিয়া ও সুজন কুমার চক্রবর্তী।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন হাফিজ ভূইয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মধ্যপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। গত ১৫ জুলাই আদালত থেকে হাফিজকে জামিন দিয়ে ওইদিনই কারাগারে সকল কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু ১৫ জুলাই রাত পর্যন্ত কারাগার থেকে বের করা হয়নি হাফিজকে। জামিনের বিষয়টি জানতে পেরে পরদিন (১৬ জুলাই) সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) সোহরাব, এসআই বাবুল ও সুজন কারাগারে গিয়ে জেল সুপার ইকবাল, জেলার দিদারুল, ডেপুটি জেলার রেজাউলের সঙ্গে যোগসাজশ করে হাফিজকে তুলে সদর থানায় নিয়ে যান।

হাফিজকে তুলে আনার বিষয়টি জানতে পেরে তার মা রেজিয়া ও ভগ্নিপতি মন মিয়া থানায় গেলে পরিদর্শক (অপারেশন্স) সোহরাব গ্রেফতার হাফিজকে ছাড়তে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে হাফিজকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে বলেও ভয় দেখান। পরে সোহরাবকে বাধ্য হয়ে তারা ৫ হাজার টাকা দিলে রাতের মধ্যে হাফিজকে ছেড়ে দেবে বলে জানান।

কিন্তু টাকা নেওয়ার পর পুনরায় পরিদর্শক (অপারেশন্স) সোহরাব, এসআই বাবুল ও সুজন জানায় তাদের দাবিকৃত মোটা অংকের টাকা না দিলে হাফিজকে ডাকাতি মামলায় চালান দেওয়া হবে। পরবর্তীতে দাবিকৃত টাকা দেওয়ায় একমাস আগের এক মামলায় অজ্ঞাত আসামির স্থলে হাফিজকে আসামি করে আদালতে চালান দেওয়া হয়।

বাদী রেজিয়া বেগমের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন খান জানান, এজাহারটি গ্রহণ করে এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি